শাংহাই

শাংহাই হলো চীনের সবচেয়ে বড় শহর এবং বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মেট্রোপলিটন শহর। ১০ম শতকে প্রতিষ্ঠিত এই শহরে এখন ২৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস করে। এখানকার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ইউরোপীয় স্থাপত্যে ঘেরা দ্য বুন্ড ওয়াটারফ্রন্ট এবং ভবিষ্যতদর্শী পুডং জেলা, যা সুউচ্চ ও আকাশছোঁয়া ভবনগুলোর জন্য বিখ্যাত। আরও রয়েছে নয়নাভিরাম ইউয়ুয়ান গার্ডেন, প্রাচীন জেড বুদ্ধ টেম্পল, এবং জিন্টিয়ানডি ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার—যেখানে ঐতিহ্যবাহী শিকুমেন স্থাপত্য মিশে গেছে আধুনিক বুটিক ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে।

বেইজিং

চীনের রাজধানী বেইজিং বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর—এর ইতিহাস ৩,০০০ বছরেরও বেশি। শহরটি রাজকীয় ও প্রাচীন ঐতিহ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে থাকে। শহরটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো প্রাচীন রাজপ্রাসাদ ফরবিডেন সিটি, যেখানে শত শত হল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে টেম্পল অব হেভেন—যেখানে প্রাচীনকালে সম্রাটরা প্রজননের জন্য আচার অনুষ্ঠান করতেন—এবং গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ, যা সবুজ বাগানে ঘেরা। শহরটির বাইরে রয়েছে বিখ্যাত চীনের প্রাচীর, যা মানব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রকৌশল কীর্তি।

গুয়াংঝো

গুয়াংঝো চীনের প্রাচীন ও বৃহত্তম শহরগুলোর একটি, যেখানে এখন ১৮ মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। এই গতিশীল মহানগরটি ঐতিহ্যবাহী চীনা মন্দির, ঔপনিবেশিক স্থাপত্য এবং আধুনিক উচ্চমানের আবাসন এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে। মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যান্টন টাওয়ার—যা বিশ্বের অন্যতম উঁচু ভবন, শামিয়ান দ্বীপ—ইউরোপীয় ধাঁচের প্রাচীন স্থাপত্যসহ, এবং সিক্স বেনিয়ান ট্রিজ টেম্পল, যেখানে ফ্লাওয়ার প্যাগোডা দাঁড়িয়ে আছে। গুয়াংঝো আরও বেশি বিখ্যাত ইউশিউ পার্ক ও প্রখ্যাত স্থপতি জাহা হাদিদের ডিজাইন করা অপেরা হাউসের জন্য।

হাংঝো

হাংঝো চীনের অন্যতম মনোরম শহর, যেখানে প্রাচীন ঐতিহ্য আর আধুনিক স্থাপত্যের অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা যায়। শহরটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো ওয়েস্ট লেক—যা ঘিরে রয়েছে প্রাচীন প্যাগোডা, নান্দনিক ব্রিজ এবং চা-বাগান। শহরটির অন্যান্য দৃষ্টিনন্দন জায়গার মধ্যে রয়েছে লেইফেং প্যাগোডা—যেখান থেকে পুরো শহর দেখা যায়, লিংইন টেম্পল—যেখানে হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে, এবং মেইজিয়াউ টি ভিলেজ—যেখানে বিখ্যাত লংজিং গ্রিন টি চাষ করা হয়।

ঝোউজুয়াং

৯০০ বছরেরও বেশি আগে পানির ওপর গড়ে ওঠা ঝোউজুয়াংকে বলা হয় “চীনের ভেনিস।” এই ছোট্ট শহরে রাস্তার বদলে রয়েছে খাল, আর এখানে গাড়ির চেয়ে নৌকায় চলাচল করা অনেক সহজ। মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফু’আন ও শুয়াংচিয়াও নামের প্রাচীন পাথরের সেতু, শতাব্দী প্রাচীন প্রাসাদ, এবং ঐতিহাসিক বৌদ্ধ মন্দির, যেগুলোর প্রতিচ্ছবি জলরাশিতে প্রতিফলিত হয়। শহরটি সরু গলি আর ঐতিহ্যবাহী সাদা রঙের বাড়ির জন্য বিখ্যাত, যেগুলোর ছাদে গাঢ় টাইলসের আবরণ থাকে।